গ্রামটা জেলে পাড়ার। এখানেই আলাপ হয়েছিল শুভ,মধুমিতা ,অজয় আর লক্ষীকান্তদের সাথে। ওদের কারো বয়স পাচ বছরের বেশি না, মুখে এক রাশ দুষ্টু মাখা হাসি নিয়ে খেলে বেড়াচ্ছিল। কাছে ডেকে যখন বললো-“কি হে স্কুলে কি যাও?” উত্তরে বেশ বুক ফুলিয়ে এক গাল হেসে বলেছিল “হা,যাইতো…”
বেশ অবাক হয়েছিল ভলান্টিয়াররা।
যেখানে এখনো পৌছেনি বিদ্যুতের আলো, বাওড়ের মাছ-যাদের প্রধান জীবিকা,তার সন্তান ও স্কুলে যায়!! অনেক আগ্রহ নিয়ে গিয়েছিল ভলান্টিয়াররা স্কুলটা দেখতে। গিয়ে দেখেছিল এ যেন প্রাচীনকালের এক পাঠশালা, যেখানে হয়তো সবার বই নেই, খাতা বা স্লেট তাও নেই সবার, কিন্তু এক গুরু আছেন, যিনি নিরলস ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন এত্ত সংকুলতার মাঝেও তাদেরকে আলোকিত করতে। সত্যিই তিনি যেন তিমির ভেদনকারী,আলো দেখাচ্ছেন ঐ সব আলো বঞ্চিতদের, সুর করে কখনো শেখাচ্ছেন twinkle twinkle কখনো বা মামার বাড়ী। তারা শ্রদ্ধা জানায় এই গুরুকে,ধন্য তিনি।
ভিবিডি -যশোর চেষ্টা করেছে এই গুরুর পাশে দাড়ানোর, প্রোজেক্ট-চলো স্কুল রঙ্গিন করি’এমন এক প্রয়াস। তারা চেষ্টা করেছে এদের শিক্ষা-ব্যবস্থাকে একটা নির্দির্ষ্ট পাঠ পরিকল্পনায় রুপ দিতে, তাই প্রেরনা বিদ্যানিকেতন ২৫ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই এবং স্লেট বিতরন করা হয়। এছাড়া স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে হাত ধোয়া কর্মসুচি ও ছিল এ প্রজেক্টের অন্তর্ভুক্ত।
নতুন বই আর স্লেট পেয়ে গুরু আর তার শিষ্যরা মহাখুশি,খুশি আমরাও সত্যিকারে তাদের পাশে থাকতে পেরে।
ধন্যবাদ জানাই সকল ভলান্টিয়ার ,কমিটি মেম্বারদের,যাদের অক্লান্ত প্ররিশ্রমে আমরা সফল হতে পেরেছি।আশা করি সামনের দিনগুলোতেও পাশে থাকবেন এভাবে।